চন্দ্রনগর নামে শান্ত নদীর শহরে থাকে লেখাপ্রেমী মেয়ে রুহানি। এক সকালে নদীর ধারে সে পরিচিত হয় চিত্রশিল্পী নিহাদ-এর সঙ্গে। খুব সাধারণ পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে তারা কাছাকাছি আসে—একজন লেখে, একজন আঁকে; দু’জনের ভেতরের শিল্প একে অপরকে টানে। সময়ের সাথে তাদের অনুভূতি প্রেমে রূপ নেয়।
তাদের সম্পর্ক শুরু হয় কোমল যত্ন, হাসি আর একসঙ্গে কাটানো অগণিত মুহূর্তে। কিন্তু ঝড় আসে যখন নিহাদকে চাকরির জন্য ঢাকায় যেতে হয়। দূরত্ব, ব্যস্ততা ও ভুল-বোঝাবুঝি ধীরে ধীরে তাদের মাঝে ফাঁক তৈরি করে। রুহানি কষ্ট পায়, ফোন বন্ধ করে দেয়, আর সম্পর্কটাকে নিজের মতো করে সময় দেয়ার চেষ্টা করে।
সেই সময়েই নিহাদ উপলব্ধি করে—রুহানিকে ছাড়া তার জীবন অসম্পূর্ণ। হঠাৎ সে চন্দ্রনগরে ফিরে এসে বলে দেয়, জীবনের সব স্বপ্নের চেয়েও রুহানি তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারা আবার নতুন করে সম্পর্ক শুরু করে। রুহানি তার প্রথম উপন্যাস লেখে আর নিহাদ শহরের কাছেই চাকরি নিতে সিদ্ধান্ত নেয়।
শেষে, পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে তারা আবার তাদের ভালোবাসা স্বীকার করে—নিহাদের চোখে রুহানির ঘর, আর রুহানির চোখে নিহাদের বেঁচে থাকার নীল নদী। তাদের প্রেম শেষ হয় না; বরং নতুন পথ পায়। here